নিজস্ব প্রতিবেদক
অবৈধ কাউন্টার বসিয়ে যানজট সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের পেশাদার সাংবাদিক শাহেদ মিজানের উপর হামলা করা হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়ক মোড়ের শ্যামলী কাউন্টারের কর্মচারী মনছুরের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
হামলার শিকার সাংবাদিক শাহেদ মিজান জানান, ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকে শ্যামলী পরিবহণের একটি বাস অবৈধ পার্কিংয়ে প্রবেশ করার জন্য অপেক্ষা করছিলো। এতে চারিদিকে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এসময় নিজ অফিস থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ওই বাসটির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল সাংবাদিক শাহেদ মিজান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে শ্যামলী কাউন্টারের কর্মচারী মনছুর। ক্ষিপ্ত হয়ে শাহেদ মিজানকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। এর প্রতিবাদ করলে শ্যামলী কাউন্টারের কর্মচারীরা তেড়ে আসে। এক পর্যায়ে মনছুরের নেতৃত্বে সাংবাদিক শাহেদ মিজানের উপর হামলা করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযানে যায় সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল। কিন্তু তার আগেই হামলাকারী মনছুরসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকেরা। তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং হামলাকারী সন্ত্রাসী মনছুরসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীরুল গিয়াস জানান, ইতিমধ্যে এজাহার পেয়েছি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, শহরের জনাকীর্ণ স্থানে অবৈধভাবে বসানো শ্যামলী কাউন্টারটি এখন শহরের দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ধ্যা হলেই এই কাউন্টারে প্রবেশ করা বাসের কারণে পুরো শহর তীব্র যানজটে অচল হয়ে পড়ে শহর। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে সাধারণ মানুষ। তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বখাটে মনছুরসহ আরো কয়েকজন বখাটেকে কর্মচারী নিয়োগ করেছে শ্যামলী কাউন্টার কর্তৃপক্ষ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।